রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ pdf
কি কি কারণে রোজা ভঙ্গ হয়ে যায় এবং রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ pdf ডাউনলোড করতে পারবেন আমাদের এই আর্টিকেল থেকে।
পবিত্র মাহে রমজানে রোজা রাখাটা যেরকম গুরুত্বপূর্ণ ঠিক রোজা হচ্ছে কিনা অর্থাৎ কোনো কারণে আমাদের রোজার মধ্যে ব্যাঘাত ঘটছে কিনা সেই বিষয়টির ও খেয়াল রাখা অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ অনেক ক্ষেত্রে রোজা অবস্থায় এরকম কিছু করে ফেলি যার ধরুন রোজা ভেঙ্গে যাচ্ছে যা আমরা বলতে ও পারি না। এজন্য রোজা রাখাটা যেরকম গুরুত্বপূর্ণ ঠিক রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ জানাও তদ্রূপ।
সেই প্রেক্ষিতে আজকের আর্টিকেলে কি কি কারণে রোজা ভঙ্গ হয়ে যায় বা রোজা ভঙ্গের কারণ কি কি সে সম্বন্ধে বিস্তারিত জানব।
আশা করি আমাদের আর্টিকেল পড়ার পরে কি কি কারণে রোজা ভঙ্গ হয়ে যায়? তা নিয়ে আর কোন প্রশ্ন থাকবে না ইনশাল্লাহ।
রোজার নিয়ত পারেন তো?
১ মিনিটে শিখুন ফেলুন
রোজা ভঙ্গের কারণ
صيام বা الصوم এর সংজ্ঞা হলোঃ
১الصوم هو الامساك عن الاكل والشرب والجماع من طلوع الفجر الى غرور الشمس مع النيه
অর্থাৎ খাওয়া অথবা কোন কিছু পান করা কিংবা স্ত্রী সঙ্গম করা, এই ৩ টি কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা। কখন থেকে ?
(من طلوع الفجر )ফজর থেকে (الى غرور الشمس) সূর্যাস্ত পর্যন্ত (مع النيه) নিয়তের সাথে।
রোজা ভঙ্গের কারণ।
এই লং নির্দিষ্ট টাইমে নিয়তের সাথে যখন কোন ধরনের পানাহার করলেন না এবং স্ত্রীর সাথে সহবাস করলেন না। এটার নামই হচ্ছে الصوم বা রোজা।
صيام বা الصوم এর সংজ্ঞা থেকেই আমরা বুঝতে পারছি,
কেউ যদি খাই, পান করি কিংবা স্ত্রীর সঙ্গম করি রোজা ভেঙ্গে যাবে এবং সম্মানিত দ্বীনি ভাই ও বোনেরা এই তিনটি মানদণ্ডের কাছাকাছি যে জিনিসগুলো আছে এগুলোর কারণেও রোজা ভেঙ্গে যাবে।
সরাসরি খাওয়া কিংবা ইনডাইরেক্টলি খাওয়া এতে ও রোজা ভেঙ্গে যাবে। ডিরেক্টলি আপনার স্ত্রীর সাথে ফিজিক্যালি সহবাস করা কিংবা যেকোন ভাবে আপনার শাহাওয়াতকে পূর্ণ করার মাধ্যমে আপনার সিমেন (বীর্য) আউট করলে তাতেও আপনার রোজা ভেঙে যাবে।
তাহলে চলুন উল্লেখ্য সংজ্ঞার আলোকে আমরা জেনে নেই কি কি কারণে রোজা ভঙ্গ হয়ে যায়?

রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ – roza vonger karon
- ইচ্ছাকৃত খাবার খেলে।
- ইচ্ছাকৃত পান করলে।
- যদি হাজব্যান্ড ওয়াইফ সহবাস করে।
- ইচ্ছাকৃত বমি করলে।
- ইচ্ছাকৃত (মাস্টারবেশন) বীর্যপাত করলে (হস্তমৈথুন।)
- ধূমপান করলে।
- নাকে ড্রপ দিলে।
- সিংগা কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে হাত কেটে রক্ত বের করলে।
- আগরবাতি জ্বালিয়ে ধোয়া গ্রহণ করলে।
রোজা ভেঙ্গে গেলে করণীয়
উল্লেখ্য কারণ গুলোর মধ্যে যদি কোন একটি কারণে আপনি রোজা ভেঙ্গে ফেলেন তাহলে আপনাকে শুধু রোজা রাখলে হবে না বরং সাথে কাফারো করতে হবে। এখন আপনার প্রশ্ন হতে পারে রোজার কাফফারা কি?
রোজার কাফফারা
রোজার কাফার হলো একটি রোজার আদলে ধারাবাহিকভাবে ৬০টি রোজা রাখা।
রোজা ভাঙ্গার কারণ কয়টি ও কী কী?
রোজা ভাঙ্গার কারণ ৭ টি যথাঃ
১/ ইচ্ছাকৃত পানাহার করলে।
২/ ইচ্ছাকৃত ভাবে বমি করলে।
৩/ইচ্ছাকৃত ভাবে বীর্যপাত ঘটালে
৪/ধুমপান করলে।
৫/সিংগা কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে হাত কেটে রক্ত বের করলে।
৬/ স্ত্রী সহবাস করলে।
৭/ আগরবাতি জ্বালিয়ে ধোয়া গ্রহণ করলে।
কি কি কারণে রোজা ভঙ্গ হয়ে যায়?
খাওয়া অথবা কোন কিছু পান করলে কিংবা স্ত্রী সঙ্গম করলে রোজা ভেঙ্গে যায়। এই সংজ্ঞা অনুসারে আরোও বেশ কিছু পয়েন্ট বের হয়ে যা আমরা আর্টিকেল উল্লেখ করেছি।
শরীর থেকে রক্ত বের হলে কি রোজা ভেঙে যায়?
অনিচ্ছাকৃত রক্ত বের হলে রোজা ভঙ্গ হবে না তবে ইচ্ছাকৃত যদি কেউ রক্ত বের করে তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে।
রোজার কাফফারা কি?
একটি রোজার আদলে ধারাবাহিকভাবে ৬০টি রোজা রাখা।
শেষ কথা
আমরা আপনাদেরকে এই পোষ্টের মাধ্যমে কি কি কারণে রোজা ভঙ্গ হয়ে যায় এবং রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ নিয়ে আলোচনা করেছি আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে যে সমস্ত কারণ রোজা ভঙ্গ হয়ে যায় তা জানতে পেরেছেন।