বাচ্চাদের জ্বর কমানোর দোয়া এবং জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় জেনে নিন

বাচ্চাদের জ্বর কমানোর দোয়া এবং জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় জানতে অনেকেই গুগলে সার্চ করে থাকেন, তাই আজ আমরা আপনাদের সাথে জ্বরের দোয়া এবং খুঁটিনাটি আরো বিষয়াদি নিয়ে হাজির হয়েছি।
ভূমিকা
সর্বদা সুস্থ থাকতে না চায় এমন কে আছে? ছোট-বড়, যুবক-যুবতী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সকলেই চায় সব সময় সুস্থ থাকতে। এরপরেও মানুষের জীবনে অসুস্থতা আসে এবং আসবেই। আর সাধারণত এর কারণে মানুষের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আসে।
অস্বাভাবিক কিংবা কষ্টদাআয়কভাবে জীবনযাপন করতে কে বা চায়? তাইতো অসুস্থতা থেকে পরিপূর্ণ সুস্থ হতে মানুষের কমতির কোন শেষ নেই।
কেউ অসুস্থ হলে ইসলাম তার চিকিৎসা করানোর প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছে। এবং এরই পাশাপাশি দিয়েছেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর সুন্নত পালনের নির্দেশনা। যার দরুন আল্লাহর রহমতে অতি দ্রুত সুস্থতা লাভ হয়।
পবিত্র হাদিসের কিতাব গুলিতে রয়েছে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তির নানা আমল। আর আজকের postsbd আর্টিকেলে আলোচনা হবে বাচ্চাদের জ্বর কমানোর বাংলা দোয় কোনটি।
জ্বর
জ্বর একটি শারীরিক অসুস্থতা যা সাধারণভাবে শরীরের উচ্চ তাপমাত্রা বা স্বাভাবিক স্বাস্থ্য সীমা থেকে বেশি তাপমাত্রা দেখা যায়। এটি একটি প্রাথমিক রোগ হিসেবে পরিচিত।
জ্বর সাধারণত বিভিন্ন ধরনের রোগের প্রাথমিক অবস্থা হতে পারে
যেমনঃ
- ভাইরাস ইনফেকশন
ভাইরাস ইনফেকশন হল সবচেয়ে সাধারণ জ্বরের কারণ। যেমন
- ডেঙ্গু।
- হেপাটাইটসি।
- এটিপি।
- ইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদি।
এই ভাইরাসগুলি মানব শরীরে প্রবেশ করার ফলে সংক্রমণ উৎপন্ন করতে পারে এবং জ্বর প্রমুখ লক্ষণ দেখা যেতে পারে।
ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন
কিছু ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন জ্বরের কারণ হতে পারে তা নিম্নে দেওয়া হলঃ
- স্টাফিলোকোকাস
- স্ট্রেপটোকোকাস
- একটি জিপি (গনোকোকাস)
- প্নিউমোকোকাস ইত্যাদি।
ম্যালেরিইয়া
এটি একটি প্যারাসাইটিক ইনফেকশন। যা সাধারণত অ্যানোফেলেস মসকিটো দ্বারা সংক্রমণ হতে পারে এবং এর ফলে জ্বর হতে পারে।
উষ্ণতা সংক্রমণ
উষ্ণতা সংক্রমণ হল অতিরিক্ত উষ্ণতা বা তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া এবং এটি জ্বরের একটি আবেগিক কারণ হতে পারে।
জ্বর উৎপন্ন হওয়া
এটি হতে পারে ওষুধ প্রতিক্রিয়ার ফলাফল যা মানুষকে অন্য কোন ওষুধ খাওয়ানোর পর হয়ে থাকে।
আরও অন্যান্য কারণ
এছাড়া অন্যান্য কারণেও জ্বর হতে পারে যেমন অয়ারানি, স্ট্রেস ,বা ত্বক ইনফেকশন ইত্যাদি।
ওপরে উল্লিখিত কারণে সাধারণত জ্বর হতে পারে। আর সবচেয়ে বড় কথা হল আল্লাহ কোন কারণ ছাড়াও যে কাউকে যেকোন অসুস্থতা দান করতে পারে।
বাচ্চাদের জ্বর কমানোর দোয়া
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জ্বর এবং অন্যান্য ব্যথায় নিম্নোক্ত দোয়া পড়ার শিক্ষা দিতেন।
জ্বর কমানোর দোয়া আরবিঃ
بِسْمِ اللَّهِ الْكَبِيرِ বিসমিল্লাহিলকাবিরি أَعُوذُ بِاللَّهِ الْعَظِيمِ مِنْ
شَرِّ عِرْقٍ نَعَّارٍ আউজুবিল্লাহিলআজিমি মিন শাররি ইরকিননায়ারি وَمِنْ شَرِّ حَرِّ النَّارِ অ মিন শাররিননা রি
বাচ্চাদের জ্বর কমানোর বাংলা দোয়া।
বিসমিল্লাহিলকাবিরি আউজুবিল্লাহিলআজিমি মিন শাররি ইরকিননায়ারি অ মিন শাররিননা রি
অর্থ
মহান আল্লাহর নামে, আমি প্রবাহমান রক্তচাপের আক্রমণ থেকে এবংজাহান্নামের আগুনের উত্তাপের অনিষ্ট থেকে সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
বাচ্চাদের জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়
শিশুর জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় গুলো জেনে রাখুন, কেননা ঘরোয়া প্রাথমিক এই উপায় গুলো ঠিকঠাক মত মেন্টেন করলে দেখা যায় প্রায় ৮০% রোগী কে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সেফা দান করেন।
মাথায় পট্টি দিন
কারণ জ্বর হলে মানুষের শরীরে অতিরিক্ত তাপমাত্রা কমানোর অন্যতম পদ্ধতি হলো জলপট্টি দেওয়া। সেজন্য পরিষ্কার পানিতে সুন্দর এবং পরিষ্কার রোমাল ভালোভাবে ভাঁজ করে ভিজিয়ে নিন। এরপর ভিজা রোমাল কপালের ওপর দিয়ে রাখুন।
এভাবে কয়েক মিনিট পর রোমালটি পুনরায় বিজি একইভাবে রোগীর কপালের ওপর দিয়ে রাখুন।
এভাবে কয়েকবার করলে আশা করি শরীরের তাপমাত্রা মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে ইনশাআল্লাহ ।
তুলসী পাতার ব্যবহার
১০ থেকে ১৫ টি তুলসী পাতা নিয়ে নিন। এবার পাতাগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। একটি পাত্রে পরিমাণ মত পানি গরম হতে দিন। এবং সাথে তুলসী পাতাগুলো ও দিয়ে ভালোভাবে পানি আর তুলসী পাতা ফুটিয়ে নিন। এবার এই পানির প্রতিদিন সকাল সকাল এক কাপ করে খেয়ে নিন। ইনশাআল্লাহ ভালো ফলা পাবেন ।
মধু
এক চা চামচ মধু এবং অর্ধেক লেবুর রস ও এক গ্লাস গরম পানি নিন। এবার সবগুলো একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ দিনে দুইবার খান। তাতে শরীরের ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে ফেলবে ইনশাল্লাহ ।
রসুনের ব্যবহার
এক চা চামচ মধু এবং সাথে আদা চা চামচ আদা নিন। এবার এক কাপ গরম পানিতে আদা বাটা ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি দিনে তিন থেকে চারবার পান করুন । এতে আপনার জ্বর কমতে থাকবে কারণ প্রাকৃতিক অ্যান্টিভাইরাস এটি আপনার শরীরে তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করবে ইনশাল্লাহ।
দ্রুত জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়
অসুস্থতা একটি সেনসিটিভ বিষয় সবটা রব্বে কারীমের হাতে তিনি কখন কাকে সুস্থতার কিংবা অসুস্থতার নেয়ামত দিবেন এবং কখন তার থেকে শিফা দান করবেন সম্পূর্ণ তিনার হাতে।
তাছাড়া দ্রুতজর কমানোর জন্য অপর উল্লেখিত ঘরোয়া উপায় গুলো ট্রাই করে দেখতে পারেন। এবং পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে মালটা খাওয়ার চেষ্টা করুন, এবং দোয়া করুন।
আপনার জিজ্ঞাসা
জ্বর হলে করণীয়?
আসলে জ্বর কোন রোগ নয়, জ্বর হলো অন্যান্য রোগের লক্ষণ। যা ভিক্টোরিয়া ভাইরাস ছত্রাক ম্যালেরিয়া ইত্যাদির ধারা যখন কোন ব্যক্তি আক্রান্ত হয়, তখন শরীরে তাপমাত্রা বেড়ে যায়। নিম্নে জ্বর হলে কি কি করা প্রয়োজন তা দেওয়া হলঃ
গোসল ও শরীর মুছে দেওয়া
বরফ ও জলপটি ব্যবহার করা
পুষ্টিকর তরল খাবার খাওয়া
ঘুম এবং বিশ্রাম করা
বেশি বেশি পানি পান করা
জ্বর মাপার নিয়ম?
জ্বর মাপা মূলত তাপমাত্রা মাপার জন্য ব্যবহার হয়। তাপমাত্রা মাপার জন্য সাধারণভাবে থার্মোমিটার ব্যবহার করা হয় নিম্নে জন্মাপার নিয়ম দেওয়া হলঃ
একটি ডিজিটাল থার্মোমিটার বা ক্লাসিক গ্লাস থার্মোমিটার নির্বাচন করুন তাতে থার্মোমিটার ব্যবহার সহজ হয়।
থার্মোমিটার কে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন।
থার্মোমিটার ঠান্ডা জায়গায় সংরক্ষণ করুন।
জ্বর হলে কি খাওয়া উচিত?
জ্বর হলে কোন কোন খাবার খাওয়া উচিত তা নিম্নে দেওয়া হলঃ
পুষ্টিকর খাবার
প্রতিক্রিয়া থেকে মুক্তি কর খাবার
ফলের রস
চিকেন সুপ
চা
মিল্কশেক
ডাবের পানি
যাও ভাত
ডিম
পাত্তা খিচুড়ি
জ্বর ঠোসা কেন হয় ?
জ্বরের ঠোসা হার্পিস সিমপ্লেক্স নামক ও ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে।
জ্বর কমানোর দোয়া
জ্বর থেকে মুক্তির দোয়াটি হলঃ
বিসমিল্লাহিলকাবিরি আউজুবিল্লাহিলআজিমি মিন শাররি ইরকিননায়ারি অ মিন শাররিননা রি
জ্বর হওয়ার উপকারিতা
জ্বর হওয়ার কিছু উপকারিতা নিম্নে দেয়া হলোঃ
জ্বর আপনার ক্যান্সারের জীবাণু ধংস করতে সাহায্য করবে।
ইমিউনি সিস্টেমকে আরো শক্তিশালী করে তুলবে।
হৃদস্পন্দন আগের তুলে নাই বেড়ে যাওয়ায় রক্তের মাধ্যমে সঠিক মাত্রায় অক্সিজেন প্রবাহিত হতে থাকে।
আপনার শরীরের সকল ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে ফেলবে।
শেষ কথা
বাচ্চাদের জ্বর কমানোর দোয়া। এই আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে। তা আমাদেরকে জানাতে ভুলবেন না। কারণ আপনাদের একটি কমেন্ট ই আমাদের ইন্সপায়ার করে নিত্য নতুন আর্টিকেল লিখতে। ধন্যবাদ সবাইকে।