tahajjud namaz niyat bangla জেনে নিন

তাহাজ্জুত এমন এক আমল যা মুমিন বান্দা-বান্দিগন দুনিয়ার সকল চিন্তা চেতনা ছেড়ে রাতের গহীনে প্রভুর তরে শির নত করেন এবং একমাত্র স্রষ্টার প্রেমে হাবুডুবু খান। এটি নবীগণ এবং আল্লাহ ওয়ালাদের নিয়মিত একটি আমল, যার মাধ্যমে রাতের আদিবারে স্রষ্টার শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা ও কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে আল্লাহকে খুশি করেন।
দৈনন্দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ত সকলের জানা থাকলেও অনেকের আবার তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত কিভাবে করতে হয় সেই বিষয়টি জানা নেই।
তাই আজ আমরা tahajjud namaz niyat bangla এবং আরবিতে কিভাবে করবেন তা জানাবো।
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত বাংলা – আরবি – tahajjud namaz niyat bangla
আরবি
نَوَيُتْ اَنْ اصَّلي لِلهِ تَعَالَى رَكْعَتيْ الصِلاه التَّهَجُّدَ مُتَوَجِّهًا الى جِهَتي كَعَبُه الشَّريفه اللَّهُ اكَّبِرْ
বাংলা উচ্চারঃ
নাওয়াই তুয়ান উসল্লিয়া লিল্লাহি তা,য়ালা রকাতাই সলাতিত তাহাজ্জুদি মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতি কা,বাতিশ শারিফাতি….. আল্লাহু আকবর।
বাংলা নিয়ত
আমি নিয়ত করছি যে কেবলামুখী হয়ে একমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যে তাহাজ্জুতের ২ রাকাত নামাজ আদায় করছি …..আল্লাহু আকবার।
এতটুকু পর্যন্ত ছিল নিয়ত সংক্রান্ত আলোচনা। আপনি যদি শুধু তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত জানার জন্য এসে থাকেন চাইলে নিম্নলিখিত লেখাগুলো না পড়েও চলে যেতে পারেন।
আপনার জিজ্ঞাসা
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত কিভাবে করবেন?
আপনারা অনেকে ভাবেন যে তাহাজ্জুতের ডিফারেন্ট কোন নিয়ত আছে কিনা। আসলে আমি যদি বিষয়টি ক্লিয়ার করে বলি
নিয়ত মানে হলো মনের সংকল্প। উপরে উল্লেখিত যে নিয়ম রয়েছে শুধু সেই ভাবেই আপনাকে নিয়ত করতে হবে বিষয়টি এরকম নয়।
আপনি আপনার মনের মত চাইলে নিয়ত করে ফেলতে পারেন। আমি যদি আপনাকে কয়েকটি উদাহরণ দেই যেমনঃ
আমি তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ছি আল্লাহু আকবার।
আল্লাহর নামে তাহাজ্জুদ পড়ছি আল্লাহু আকবার।
কেবলামুখী হয়ে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ছি আল্লাহু আকবার।
আমি কেবলামুখী হয়ে দুই রাকাত তাহাজ্জুদ পড়ছি আল্লাহু আকবার।1
আপনি হয়তো বলতে পারেন চারটি নিয়তের মধ্যে মাত্র একটিতে দুই রাকাতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে বাকি তিনটিতে কেন উল্লেখ করা হয়নি?
আসলে তাহাজ্জত নফল নামাজ আর নফল নামাজ দুই দুই করে পড়া হয়ে থাকে এজন্য আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই দুই রাকাত তাহাজ্জত আদায় করছি।
মোট কথা আপনি আপনার মাতৃভাষায় যেভাবে পারেন নিয়ত টি করে ফেলবেন।
কখন তাহাজ্জুদ পড়বো?
তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সময় হল এশার নামাজের পর থেকে। ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত এবং উত্তম সময় হলো ফজরের আগ মুহূর্তে অর্থাৎ রাত্রির এক তৃতীয় অংশে পড়া।
কিভাবে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়বো?
ওযু করে জায়নামাজে দাঁড়িয়ে যান (ওযুর ফরজ কয়টি জেনে নিন) ,তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত করুন এবং অন্যান্য নামাজের ন্যায় নামাজ সম্পন্ন করুন।
তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ায় কোন ফজিলত আছে কি?
আল্লাহর কুরআন এবং হাদীসে তাহাজ্জত এর বহু ফজিলত বর্ণনা রয়েছে।
রব্বে কারিম পবিত্র কালামুল্লায় বলেন আল্লাহর প্রিয় ঐ সমস্ত ব্যক্তি, যারা তাদের প্রতিপালকের দরবারে সিজদা করে। এবং দাঁড়িয়ে থেকে রাত্র কাটিয়ে দেয়। (সূরা আল ফোরকান)
রাসূল সাঃ বলেন রাত্রে এমন একটা সময় রয়েছে রব্বে কারিম এর কাছে কোন ব্যক্তি যদি ইহকাল ও পরকালের কোনো কল্যাণ চান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাকে নিশ্চিত দান করেন। (মুসলিম শরীফ)
তাহাজ্জুদ নামাজ কত রাকাত করে পড়তে হয়?
তাহাজ্জুদ নামাজ দুই দুই রাকাত করে পড়তে হয়।
তাহাজ্জুদ নামাজ কয় রাকাত পড়বো?
আপনি তাহাজ্জত নামাজ দুই দুই করে যে কয় রাকাতের ইচ্ছা পড়তে পারেন। অনেকে বলেন সর্বনিম্ন ৮ রাকাত পড়তে। অবশ্য আপনি এর চেয়ে কমও করতে পারেন।
তাহাজ্জুদ নামাজের কি কোন নির্দিষ্ট সূরা আছে?
না আপনি চাইলে যেকোন সূরা পারেন।
কি করলে তাহাজ্জুদ নামাজ ভেঙ্গে যায়?
অজু ভাঙলে এক কথায় বলতে গেলে সকল নামাজ ভাঙ্গার কারণ সেম। তাই নামাজ ভঙ্গের কারণ জানতে এখানে ক্লিক করুন।
পড়ুন তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম
শেষ কথা
আমরা আজকে (tahajjud namaz niyat bangla) তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত বাংলা এবং আরবি জানান দিতে চেষ্টা করেছি। আশা করছি আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা সুন্দরভাবে তাহাজ্জুত নামাজের নিয়ত জানতে পেরেছেন।