বিদআতের শাব্দিক ও পারিভাষিক অর্থ

আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেন প্রত্যেক বিদআত গোমরাহ এবং প্রত্যেক গোমরাহীর শেষ পরিনিতি জাহান্নাম। তাই আজকে খুব সংক্ষিপ্ত ভাবে আলোচনা করব বিদায়াতের শাব্দিক অর্থ কি এবং বিদআতের পারিভাষিক অর্থ কি তা নিয়ে। আশা করি আমাদের এই ছোট্ট আর্টিকেলের মাধ্যমে বিদায়াত সম্পর্কে ভালো একটি ধারণা পাবেন ইনশাআল্লাহ।
বিদআতের শাব্দিক অর্থ
পূর্বের ফর্মা ছাড়া নতুন কিছু তৈরি করা।
বিদআতের পারিভাষিক অর্থ
নেকের উদ্দেশ্যে নব আবিষ্কৃত এমন আমল বা কাজ। যার ফর্মা জমানায় কুরুনে সালাসা তথা (নবী (সাঃ), সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ), অথবা তাবে তাবেঈন (রহঃ) এর জামানায় যহেরান (সুস্পষ্ট) বাতেনান (ইঙ্গিত বহুল) বা ইস্তিমবাতান (রিচার্জ করে) ও পাওয়া যায় না। কিংবা সাহাবায়ে কেরাম প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও করেননি।
(মাওলানা তাফাজ্জল সাহেব দাঃবাঃ)
ফাওয়ায়েদেকুয়ুদ
নেকের উদ্দেশ্য থাকা।
সুতরাং নব আবিষ্কৃত কাজটিতে যদি নেকের উদ্দেশ্যে থাকে তাহলে বিদআত হবে। অন্যথায় বিদআত হবে না।
তিন জামানার কোন এক জামানায় পাওয়া না গেলে।
সুতরাং কাজটি নবী কারীম (নবী (সাঃ), সাহাবায়ে কেরাম (রহঃ), অথবা তাবে তাবেঈন (রহঃ) এর কোন এক জামানায় পাওয়া না গেলে বিদাত হবে। আর যদি পাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে বিদআত হবে না।
সাহাবায়ে কেরাম প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও করেননি।
সুতরাং নব আবিষ্কৃত কাজটি এমন মনে করে করা যে সাহাবায়ে আজমাইন (রাঃ) প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও তিনারা করেননি।
আর যদি বিষয়টি এমন হয় যে, তিনাদের ওই সময় তা প্রয়োজন ছিল না এবং করেন ও নি কিন্তু পরবর্তীকালে কোন জামানায় তার প্রয়োজন দেখা দেয় সে ক্ষেত্রে তা বিদআত হবে না।
প্রশ্নোত্তর
মিলাদ কিয়াম করা কি বিদআতের অন্তর্ভুক্ত?
জি হ্যাঁ জমানায় কুরুতে মিলাদ কিয়ামের কোন অস্তিত্ব ছিল না।
জানাযার পর মোনাজাত করা কি বিদআত?
জি হ্যাঁ পূর্বের আলোচনা অনুযায়ী জানাযার পর মোনাজাত করা সুস্পষ্ট বিদআত।
শেষ কথা
আমরা যথার্থ চেষ্টা করেছি বিদআতের শাব্দিক পারিভাষিক এবং সংক্ষিপ্ত পরিচয় দেওয়ার জন্য। আশা করি আমাদের এই ছোট্ট আর্টিকেল মাধ্যমে আপনারা বিদআত সম্পর্কে ভালো একটা ধারণা পেয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ