মাদ্রাসার বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য (কওমি ও আলিয়া)
মাদ্রাসার বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য কিভাবে দিতে হয় তা আমরা অনেকেই জানিনা। তাই অনেকেই বিদায় কালে বিদায় বক্তব্য দিতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যাই। এই সমস্যাটি আমাদের শিক্ষক শিক্ষার্থী উভয়েরই হয়ে থাকে।
তাই আমরা আজকের আর্টিকেলে তুলে ধরেছি। কিভাবে বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য দিতে হয় (শিক্ষক-শিক্ষার্থী)
ভূমিকা
আজকে আর্টিকেলটি প্রথমত দুইভাবে সাজিয়েছি।
- শিক্ষার্থীদের মাদ্রাসার বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য
- মাদ্রাসার বিদায় অনুষ্ঠানে শিক্ষকের বক্তব্য
শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য কে আমরা আরো ৩ টি স্তরে ভাগ করেছি।
- সাধারণ যেকোন মাদ্রাসার বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য
- কওমি মাদ্রাসার বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য
- দাখিল মাদ্রাসার বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য অর্থাৎ (আলিয়া মাদ্রাসার বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য)
- মাদ্রাসার বিদায়ী কবিতা
মাদ্রাসার বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য
বিদায় শব্দটার মধ্যে মুহূর্তেই সামনে ফুটে ওঠে হৃদয়ের বেকুলতা, মনের আকুতি। আনমনা হয় সহজেই। বুকের ভেতরটা কেমন জানি ধ্বস করে ওঠে। যেমন করে প্রিয়জনের বিয়োগের বেলায় ঘটে। খুব ভালোবাসার জন হলে যা হয় আরো বিষাদময়। যদিও সকল বিদায় একই রকম নয়।
কিছু বিদায় চির জীবনের জন্য।
কি ছবি দেয় আবার ক্ষনিকের বিদায়।
দুটোই কমবেশি দুঃখজনক।
এক ঝাঁক নক্ষত্রের একদিন ধুমকেতুর মতো আবির্ভাব হয়েছিল। আর আজ চোখের অন্তরালে অনেকে দূরে চলে যাবে। জানি এভাবে আর দেখা হবে না।
নক্ষত্র পতন হয় আমরা জানি। যে তারার আলো আজ আমরা দেখছি সেটা অনেক আগের আলো। আর এইরকম সকল নক্ষত্রকে আমরা আজ দূরে সরে যেতে দেখব। এটাই প্রকৃতির নিয়ম এক প্রস্থান নেবে তবেই নতুনের আগমন ঘটবে।
যাদেরকে নিয়ে এত উল্লাস, আনন্দ, দুখ, বেদনার মাঝেও ভালো ছিলাম। তাদেরকে আজো দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে সময়ের শাসন মেনে বিদায় জানাতে হচ্ছে। তাদেরকে আমরা সেই ভাবে একই অঙ্গনে আর দেখবো না।
হয়তো কোন একদিন কোন চৌরাস্তার মোড়ে ব্যস্ততার মাঝে মোলাকাত হবে।বেশি কথা আর হবে না।ক্ষনিকের মুহূর্তে যা হয় সেটাই। হঠাৎ করেই আপন কাজে ব্যস্ত হয়ে হারিয়ে যাব, তখন পূর্বের কথা স্মরণ করে একটু বিষন্নতা আসবে এটাই সত্যি।
তবুও একটা কথা বলবো তোমরা যেখানেই থাকো ভালো থেকো।যেখানেই যাওনা কেন তোমাদের সুগন্ধি সারা বাগান ভরিয়ে তুলবে-এ আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। তারা হয়ে সমস্ত আকাশকে জ্বলজ্বল করে জ্বালাবে, দীপ্তময় করে তুলবে পৃথিবীর আনাচ কানাচ।এই অবস্থা মনের গভীরে পোষণ করে সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ভালোবাসা ও অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য ইতি টানছি।
সবাই ভালো থেকো।
কওমি মাদ্রাসার বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য
আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া মাজহারুল উলুম দক্ষিণ রালদিয়া মাদ্রাসা কর্তৃক আয়োজিত ২০২৩ সালের বিদায় অনুষ্ঠানে মঞ্চে উপবিষ্ট সম্মানিত সভাপতি এবং আমার শ্রদ্ধেয় আসাতে যেয়ে কেরাম ও দূরদূরান্ত থেকে আগত প্রিয় সাথী ভাইয়েরা, সকলের প্রতি আমার সালাম আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
যেতে হবে অনেক দূর।
তাই এই ছেড়া বাঁধন।
বিরহ ব্যথা তো মনে বইছে হাসি আর কাঁদন।
আজ ছেড়ে চলেছি সকল মায়া আর সুশাসন।
সামনে দাঁড়িয়েছি আজ তাই দিতে বিদায় ভাষণ।
পড়ুনঃ বাংলাদেশের সেরা মাদ্রাসার তালিকা
সম্মানিত শিক্ষক
সম্মানিত শিক্ষক শিক্ষাগুরু শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে আপনারা ছিলেন অন্তিক। আপনাদের পাঠদান আমাদের মাঝে মুক্তা ছড়িয়েছে প্রতিনিয়ত। সর্বদা সাবলীল ভাবে বোঝানোর চেষ্টা ছিল আপনাদের।
বরং আপনাদের অনেক কিছু না বুঝে আমরা বিরক্ত বোধ করেছি। আপনাদের বিরক্ত আমরা দেখিনি কখনো। এখন বুঝতে পারছি একজন বাগানের মালি কতটা আঘাত সহ্য করে একটা ভালো গোলাপের চারা উৎপাদন করে।
আজ আমি আমার সমস্ত শিক্ষকের কাছে আমাদের সকল বিরক্তবোধ আচরণের জন্য ক্ষমা প্রার্থী।
সম্মানিত অভিভাবক
আপনাদেরকে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ যে, আমাদেরকে এমন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ার জন্য এবং এখানকার জ্ঞানি-গুণী আল্লাহওয়ালা মুত্তাকী আসাতেযায়ে কেরামদের সহবতে থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন।
আমরা আপনাদেরকে হারিয়ে পেয়েছিলাম আরো ভালো মনের অভিভাবক। এখন শুধু আমাদের জন্য দোয়া করবেন যেন আমরা ভবিষ্যতে আরো উজ্জ্বল করতে পারি আপনাদের চেহারা।
প্রিয় সহপাঠী
অচেনা কতগুলো মুখ কোথায় থেকে একত্রিত হয়েছিলাম জানতাম না। আজ মনে হচ্ছে সেই মুখ যেন বহু চেনা। প্রচলিত একটি কবিতা বারবার মনের ভিতরে ঘুরপাক করছে।
কেন বাল্য বয়স হারিয়ে যায়?
হারাচ্ছে সব বাড়াচ্ছে বিরহ
হারিয়ে যাওয়ার কোন মানে নেই।
এই হারিয়ে যাওয়া যে সকলের গন্তব্য ছুটে চলা মাত্র।
তাইতো আমি বিদায় শব্দটি ব্যবহার করতে চাচ্ছিলাম না তবুও যখন আজ আমরা শব্দের কাছে বন্দী হয়ে গেছি তখন তো বলতেই হয়।
স্নেহের অনুজ
কি কথা বলিব আজ তোমাদেরকে?
ভুলে গেছি সব কথা বিদায় বিশদে।
তোমাদের ছেড়ে যেতে হবে এমন ভাবনা ভাবিওনি কখনো।
তোমাদের উদ্দেশ্যে বলি মানুষ মাত্রই যেহেতু ভুল। সে হত আমরাও ভুলেরও বাহিরে নই। আজ সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে, তোমাদের নিকট ক্ষমার হাত বাড়িয়ে দিলাম। আর তোমাদের ও ক্ষমা করে দিলাম। যদিও ছোটদের ভুল বলে কিছু নেই বা থাকে না।
বাংলাদেশের সেরা ১০ টি কওমি মাদ্রাসা
কওমি মাদ্রাসার ক্লাসের নাম সমূহ
পরিশেষে
সকল শিক্ষক, অভিভাবক, ছোট, বড় সকল সাথী ভাইয়েরা সকলের নিকট আমরা আমাদের ভুলত্রুটির জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমাদের জন্য দোয়া করবেন যেন আমরা ভবিষ্যতে ওলামায়ে দেওবন্দের নমুনা হতে পারি এবং সমগ্র দেশবাসীর জন্য নিজেকে গড়তে পারি। সকলকে জানাই আমার বিদায়ী সালাম আসসালামু আলাইকুম।
দাখিল মাদ্রাসার বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য
নাহমাদুহু ওয়া নুসাল্লি আলা রাসূলিল কারীম আম্মাবাদ। অদ্যকার আয়োজিত 0000 ইং সালের দাখিল পরীক্ষার্থীদের সফলতা কামনার দোয়া মাহফিল এ উপস্থিত সম্মানিত সভাপতি এবং আমাদের প্রাণপ্রিয় শিক্ষক অধ্যক্ষ আল্লামা (…) প্রমুখ সাহেব এবং আমার মাথার তাজ আসাতেজা কিরাম এবং সামনে উপবিষ্ট আমার সহপাঠী ছাত্র-ছাত্রী ভাই ও বোনেরা প্রত্যেকের প্রতি আমার সালাম আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু।
আজকের এই অনুষ্ঠানে কোন কিছু বলার মত ভাষা কিংবা যোগ্যতা কোনটাই আমার নাই। তবুও আমাকে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞ।
আগামী (……) বার (……) ইং তারিখ আমাদের দাখিল পরীক্ষা। আমরা যদি দাখিল শব্দের অর্থের দিকে তাকাই দাখিল মানেই প্রবেশিকা। অর্থাৎ আমরা একটা জীবন থেকে আরেকটা জীবনে প্রবেশ করতে যাচ্ছি। আরো একটি নতুন জীবনে পা দিতে গিয়ে আমাদেরকে হারাতে হবে প্রাণপ্রিয় শিক্ষার্থী এবং তারকা তুল্য আসাতেজা কেরামদেরকে। হয়তো আমাদের পরীক্ষার পরে আমরা চলে যাব একেক জন একেক জায়গায়। কেউ চলে যাবে কর্মস্থানে কিংবা কেউ রয়ে যাবে এখানেই।
আমরা ইচ্ছায় অনিচ্ছায় আমরা আমাদের শিক্ষকদের সাথে এই দীর্ঘ সময় অনেক ভুল ভ্রান্তি করেছি সেজন্য প্রত্যেকের পক্ষ থেকে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থী দয়া করে আমাদের প্রতি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আসলে আমরা হচ্ছি ফুল। আর ফুলে তো পোকা ধরবে সেই পোকা ছাড়ানোর দায়িত্ব হচ্ছে বাগানের মালিকের।
অনেক সময় আমরা ওস্তাদের সাথে উগ্র মেজাজে অনেক কিছু বলে ফেলেছি। আসলে আজ আমাদের দেওয়া ওস্তাদদের প্রত্যেকটা আঘাতের জবাবদিহি নিজের মনকে দিতে হচ্ছে। কেন এরকম টা করলাম?
এক কথায় আমাদের শিক্ষকদের ঋণ আমরা কিছুতেই শোধ করতে পারব না। যদিও নাকি আমাদের চামড়া দিয়ে তাদের পায়ের জুতা বানিয়ে দেই। যেমনটা হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা বলেছেন যিনি তোমাকে শিক্ষা দেবেন অর্থাৎ শিক্ষা গুরু। তুমি যদি সারাজীবন তারও গোলামী করো তখনো শিক্ষকের শেখানো একটি হরফের ও হক আদায় হবে না।
আর আমাদের শিক্ষকরা আমাদেরকে শুধু একটি অক্ষর শিখায়নি। দীর্ঘ দশটি বছর নিজের ছেলে মেয়ের মত শাসন করে এসেছে। তাই তাহাদের ঋণ হয়তো আমরা এই জীবনে শোধ করতে পারবো না।
আমার সামনে উপবিষ্ট সহপাঠী। জীবন চলার পথে যদি তোমাদের সাথে কোন ভুল করে থাকি আমি তোমাদের সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থী আমিও সকলকে মাফ করে দিয়েছি সবাই সবার জন্য দোয়া করবে আসসালামু আলাইকুম।
মাদ্রাসার বিদায় অনুষ্ঠানে শিক্ষকের বক্তব্য
ক্ষমা করো ধৈর্য ধরো হোক সুন্দরতর বিদায়ের ক্ষন।
মৃত্যু নয় ধ্বংস নয় নহে বিচ্ছেদের ভয়।
শুধু সমাপন।
আজকের বিদায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত মাননীয় প্রধান শিক্ষক। আমার সহকর্মী শিক্ষক শিক্ষিকা বৃন্দ সবার প্রতি জানাই আন্তরিকের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
এবং মঞ্চের সম্মুখে উপবিষ্ট আমার প্রিয় শিক্ষার্থীদের জানাই আমার হৃদয়েরঅন্তস্থলের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
বিদায় মানে যেনো বিচ্ছেদের এক কবিতা, যে কবিতা হৃদয়কে দুঃখ ভারাক্রান্ত করে, দু’ চোখ হয় অশ্রুসজল।
আজ তোমাদের বিদায় বেলা। বিদায়ের অনুষ্ঠান। এই বিদায় কেবল ক্ষণিকের আজীবনের জন্য নয় হৃদয়ের স্মৃতিপটে তোমরা আমাদের হৃদয়ে থেকে যাবে।
এই বিদায় আরো অনেক বেশি সামনে এগিয়ে যাওয়ার, নিজের সকল অমিত সম্ভাবনা মেলে ধরার,নিজের যোগ্যতা, পরিশ্রম ও মেধা দিয়ে নিজের জীবন গড়ার পদক্ষেপ নেওয়ার।
এই বিদায় নেওয়াটাও যোগ্যতার। দীর্ঘ সময় ধরে পরিশ্রম করে, পড়াশোনা করে তোমরা একেকটা ধাপ পার হয়ে আজ বিদায়ের ক্ষণে উপস্থিত হয়েছ। আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাবার জন্য।
বিদ্যালয়ের প্রতিটি মুহূর্তে তোমাদের স্পর্শ লেগে আছে, এই বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গন তোমরা ভরিয়ে রেখেছো তোমাদের সরব উপস্থিতির মাধ্যমে, পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক প্রতিভার মাধ্যমে এই বিদ্যালয়কে তোমরা গর্বিত করেছো, সম্মানিত করেছ।আমাদের সকলকে।
এই বিদ্যালয় থেকে তোমাদের শারীরিক বিদায় হলেও বিদ্যালয়ের অঙ্গন থেকে তোমাদের স্মৃতি কখনো মুছে যাবে না। এই জীবনের খেলাঘরে এই বিদায় যতটা দুঃখের ঠিক ততটাই আনন্দের কারণ জীবনের অমিত সম্ভাবনার দিকে তোমরা সব সময় এগিয়ে যাবে, মুঠো মুঠো করে কুড়িয়ে নেবে জীবনে সাফল্য সুধা।
জীবনের নানান অভিজ্ঞতা তোমাদের জীবনকে বৈচিত্র্যময় করবে। তাই বলি এগিয়ে যেতে হলে মাঝে মাঝে ছেড়ে যেতে হয়, কাটাতে হয় মায়ার ইন্দ্রজাল।
তাই হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর একটা বিখ্যাত উক্তি সবসময় মনে মধ্যে গেঁথে রাখবে,
জীবন হোক কর্মময়,
নিরন্তর ছুটে চলা,
ঘুমানোর জন্যতো কবর পরেই রয়েছে।
তোমাদের জীবনকে এমনিভাবে তোমরা সাজাবে যেনো জীবনের প্রতিটি আনন্দ তোমরা উপভোগ করতে পারো। আলসেমি করে কেউ কখনো বড় কিছু হতে পারে নি।
যারা নিজের কমফোর্ট জোন ভেঙে পরিশ্রম করেছে তারাই স্পর্শ করেছে সাফল্যের চূড়া। তারাই অর্জন করেছে সম্মান ও খ্যাতি।
কখনো বলবে না আমারতো মেধা নেই, আমিতো ব্রিলিয়ান্ট নই, মেধার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পরিশ্রম তুমি যত জানবে, যত পড়বে, যত অভিজ্ঞতা অর্জন করবে তোমার এগিয়ে যাওয়া কেউ রোধ করতে পারবে না৷
বিগত কয়েকবছর যাবত তোমাদেরকে আমরা আমাদের ভালোবাসা ও আন্তরিকতা অর্পণ করে আসছি। প্রয়োজনে তোমাদের সাথে কঠোর আচরণ করেছি যাতে তোমরা নিজেদের পড়াশোনা নিয়ে সিরিয়াস হও। যেনো পরীক্ষায় ভালো ভাবে উত্তীর্ণ এবং সাফল্য অর্জন করতে পারো।
এই বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ তোমাদের কখনোই ভুলবে না। আকাশে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো, বাগানের ফুটে থাকা ফুলের সৌন্দর্যের মতো আমরা আমাদের হৃদয়ে অমলিন হয়ে থাকবে। তোমাদের এই বিদায় শুভ হোক।
তোমরা নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করো। এই সময়টা খুবই স্পর্শকাতর। একেবারেই সময় নষ্ট করা যাবে না। ফেসবুক, ইউটিউব এসব তোমার মনযোগ নষ্ট করবে, এসবের কপাট বন্ধ করে দাও। অতিরিক্ত রাত জাগা যাবে না সময়ের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে।
কারণ এই সময়টা আর আধো ফিরে পাবে না। কথায় আছে সময় অতিবাহিত হয়ে গেলে সাধন হবে না। মনে রাখবে জীবনে অনেক কিছুই করতে পারবে কিন্তু পড়াশোনা ছাড়া। তাই এখন পড়াশোনার সঠিক গুরুত্বটা দিতে হবে।
যারা পড়াশোনা না করে গুরুত্ব না দিয়ে অবহেলা করেছে তারা অনেকে পদে পদে কষ্ট পাচ্ছে।
তোমরা শিক্ষকের কথা মেনে চলো, বাবা মার কথা মেনে চলো, তোমাকে নিয়ে তাদের স্বপ্ন পূরণ করো। বিদ্যালয়ের মুখ উজ্জ্বল হলো এবং সর্বোপরি তোমাদের নিজেকে আলোকিত মানুষ করো।
জীবনে সর্বদা বড় স্বপ্ন দেখবে এবং সেটা অর্জন করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করবে তাহলে দেখবে তোমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছো ইনশাআল্লাহ।
বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে উপস্থিত সকলের প্রতি আমি আবারো আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাচ্ছি।
ইতিহাস কখনো বিদায় বলে
না, বলে আবার দেখা হবে।
আল্লাহ হাফেজ।
গ্রন্থণা ও উপস্থাপনা – আনিসুল ইসলাম
শেষ কথা
আমরা যথার্থ চেষ্টা করেছি, মাদ্রাসার বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্যর পূর্ণাঙ্গ একটি আর্টিকেল আপনাদের উপহার দেয়ার জন্য। আশা করি আমাদের ছোট আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা ভালো করে বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য শিখতে পারবেন ইনশাল্লাহ।
পড়ুনঃ বাংলাদেশের সেরা ১০ টি মাদ্রাসার তালিকা
পোস্ট টেগ
- মাদ্রাসার বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য
- কওমি মাদ্রাসার বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য
- দাখিল মাদ্রাসার বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য
- মাদ্রাসার বিদায়ী কবিতা
- মাদরাসার বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য
- মাদ্রাসার বিদায় অনুষ্ঠানে শিক্ষকের বক্তব্য